বর্তমান যুগে সাধনা করাটা বিশাল একটি
পরিক্ষার সমান কারন বর্তমান সময় পূর্বের ন্যায় স্থান, সময় ও নির্ভেজাল জীবন যাপন
করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, আজকাল সাধনা অনেকেই করেন কিন্তু তাতে সিদ্ধি লাভ করা
সাধকের সংখ্যা অতি নগণ্য। অতএব একথা মনে রাখতে হবে যে পাঠক সবাই হতে পারে কিন্ত
সাধক হওয়া মুখের কথা নয় এটি সবার সাধ্যের মধ্যে নয়। যে সাধকের মন কঠোর, দৃঢ়
ইচ্ছাশক্তি সম্পন্য সেই শুধু সফল হতে পারে যে কোন সাধনাতে, অল্প জ্ঞ্যনী সাধক,
গুরু বিহীন সাধক এবং দূর্বল ইচ্ছাশক্তি সম্পন্য সাধক কোন ভাবেই সফল হতে পারে না,
তারা নিজের এবং সমাজের জন্য যেমন মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না তেমনি অনেক ক্ষেত্রেই
দেখা যায় যে কেউ কেউ মানষিক ভারসাম্যহীন, পাগল বা মৃত্যু মুখে পতিত হয়ে থাকে। তাই
আমরা আমাদের ক্লাইন্টদের জন্য সাধনা সফল করার কিছু গোপন নির্দেশাবলীর তালিকা
দিলামঃ
1. সাধনার প্রথম কথাই হলে ব্রহ্মচর্য পালন করতে হবে। সাধক পুরুষ হোক বা স্ত্রী হোক, তাকে ব্রহ্মচর্য পালন করতেই হবে অর্থাৎ সে কোন
ভাবে স্বামী/স্ত্রী সম্ভোগ বা অন্তরেও আনতে পারবে না। নতুবা তার সাধনা সফল করা
সম্ভবপর নয়।
2.
সাধক
কোন স্ত্রী লোককে স্পর্শ করবে না। সেই মহিলা হোক তার মা, মেয়ে, বোন, স্ত্রী বা যে
কেউ।
3. কোন স্ত্রীর হাতের জল বা তৈরী খাবার সাধক
খাবে না, তার হাত দিয়ে কোন কাপড় কাচাবে না, সাধককে নিজের খাবার নিজে তৈরী করতে
হবে, নিজের কাপড় নিজে কাচতে হবে।
4. সাধক মাটিতে চটি বা কাপড় বা পাটি বিছিয়ে
সয্যায় শয়ন করবে। সে কোন ভাবে কোন চকি বা খাটে শয়ন করতে পারবে না। শুধু মাটিতেও
শয়ন করবে না।
5. সাত্ত্বিক আহার করতে হবে। কোন আমিষ খেতে
পারবে না, নিজ মন ও শরীরকে পবিত্র রাখতে হবে।
6. যেখানে সাধনা করবে সেখানেই ভুমিতে চটি
বিছিয়ে শয়ন করবে।
7. দেবী, দেবতা বা নির্দিষ্ট শক্তির সাধনা
করার সময় তাঁর আসন সাধকের আসন থেকে উচুঁতে থাকতে হবে।
8. সাধনাস্থল যথা-নির্জন ঘর, শ্মশানভূমি,
নদীতীর, চৌরাস্তা বা কোন গাছের ছায়ায় করতে হবে, খেয়াল রাখবে সেখানে যেন বাইরের
জগতের গোলমাল বা কথা প্রবেশ না করে।
9. সাধনাস্থল যদি নির্জন ঘর হয় তবে তার রং
গাঢ় নীল হতে হবে। কমপক্ষে ঐ ঘরের সকল পর্দা নীল হতে হবে।
10.
সাধক তার নিজের চোখে গাঢ় নীল রঙ্গের কাপড় বেঁধে রাখবে এর ফলে শান্ত্রি মিলবে।
11. সাধনার পূর্বে মিষ্টি প্রসাদ, এলাচ ইত্যাদি
নিজের কাছে রাখতে হবে। কারণ আরাধ্য দেবী/দেবতা/শক্তি এসে তার প্রসাদ চাইতে পারে।
প্রসাদ দিতে বিলম্ব হলে সাধকের প্রান হানী হতে পারে তবে প্রসাদ দেওয়ার আগে সাধক
উক্ত শক্তিকে তিনটি প্রশ্ন করে তার উত্তর নিবে এরপর প্রসাদ দিবে।
12. ইনজেকশানের সুচ বা ব্লেড সাধক তার কাছে রাখবে
কারন আরাধ্য দেবতা বা শক্তি তার কাছ থেকে নিজের রক্ত চাইতে পারে যেমন কালী-মহাকালী
তিনি এসে বলতে পারেন যে আমার খুপরিটা তোমার রক্তদিয়ে ভরে দাও তখন সাধক দেবীকে
তিনটি প্রশ্ন করে তার উত্তর নিয়ে তবেই নিজের আঙ্গুল কেটে দু ফোটা রক্ত খুপরিতে
দিয়ে দেবীর জ্বিহবায় কিছুটা লাগিয়ে দিতে হবে।
13.
যে
প্রশ্ন করা হবে তা হলোঃ ক) যখনই আপনাকে ডাকবো আপনাকে আসতে হবে আপনি আমার উপর
প্রশন্ন হন। খ) যেখানেই পাঠাবো আপনাকে যেতে হবে। গ) আমার দেওয়া সকল কাজ সম্পন্ন
করতে হবে।
14. প্রতিটি সাধনার যে মূল উদ্দেশ্য তা সাধনা কালে
সবসময় নিজের অন্তরে দৃঢ়ভাবে স্বরণ রাখতে হবে এবং নিজের আত্ত্বাকে আপনার কাজের
প্রতি বহাল রাখতে হবে।